১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বাইনারি সংখ্যা, ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত বাইনারি সংখ্যা

 



বাইনারি হলো একটি সংখ্যা পদ্ধতি যেখানে শুধুমাত্র দুটি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়: ০ (শূন্য) এবং ১ (এক)। এই পদ্ধতিটিকে দ্বি-আঙ্গিক সংখ্যা পদ্ধতি বা ভিত্তি-২ সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি, সেটি হলো দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (base-10), যেখানে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত মোট দশটি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিজিটাল ইলেকট্রনিক যন্ত্র অভ্যন্তরীণভাবে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর কারণ হলো:

  • সহজ বাস্তবায়ন: ইলেকট্রনিক সার্কিটে দুটি ভিন্ন অবস্থা (যেমন: ভোল্টেজ 'অন' বা 'অফ', সুইচ 'খোলা' বা 'বন্ধ') খুব সহজে ০ এবং ১ দ্বারা উপস্থাপন করা যায়।
  • নির্ভরযোগ্যতা: দুটি অবস্থার মধ্যে পার্থক্য করা সহজ হওয়ায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • লজিক গেট: বুলিয়ান অ্যালজেব্রা এবং লজিক গেট (AND, OR, NOT) বাইনারি সংখ্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি।

বাইনারি সংখ্যার উদাহরণ:

  • (১০)₂ - দশমিক ২ এর বাইনারি রূপ
  • (১১১)₂ - দশমিক ৭ এর বাইনারি রূপ
  • (১১০১০১)₂ - দশমিক ৫৩ এর বাইনারি রূপ

দশমিক থেকে বাইনারিতে রূপান্তর করার নিয়ম:

কোনো দশমিক সংখ্যাকে বাইনারিতে রূপান্তর করতে হলে, সংখ্যাটিকে ক্রমাগত ২ দিয়ে ভাগ করতে হয় এবং ভাগশেষগুলো বিপরীত ক্রমে লিখে বাইনারি সংখ্যা পাওয়া যায়।

উদাহরণস্বরূপ, দশমিক সংখ্যা ১৩ কে বাইনারিতে রূপান্তর করার পদ্ধতি:

ভাগ প্রক্রিয়াভাগফলভাগশেষ
১৩ ÷ ২
৬ ÷ ২
৩ ÷ ২
১ ÷ ২

ভাগশেষগুলোকে নিচ থেকে উপরের দিকে লিখলে পাওয়া যায়: ১১০১। সুতরাং, (১৩)₁₀ = (১১০১)₂।

কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের মৌলিক ধারণা বোঝার জন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বাইনারি সংখ্যাগুলো নিচে দেওয়া হলো:

১ - 0000001

২ - 0000010

৩ - 0000011

৪ - 0000100

৫ - 0000101

৬ - 0000110

৭ - 0000111

৮ - 0001000

৯ - 0001001

১০ - 0001010

১১ - 0001011

১২ - 0001100

১৩ - 0001101

১৪ - 0001110

১৫ - 0001111

১৬ - 0010000

১৭ - 0010001

১৮ - 0010010

১৯ - 0010011

২০ - 0010100

২১ - 0010101

২২ - 0010110

২৩ - 0010111

২৪ - 0011000

২৫ - 0011001

২৬ - 0011010

২৭ - 0011011

২৮ - 0011100

২৯ - 0011101

৩০ - 0011110

৩১ - 0011111

৩২ - 0100000

৩৩ - 0100001

৩৪ - 0100010

৩৫ - 0100011

৩৬ - 0100100

৩৭ - 0100101

৩৮ - 0100110

৩৯ - 0100111

৪০ - 0101000

৪১ - 0101001

৪২ - 0101010

৪৩ - 0101011

৪৪ - 0101100

৪৫ - 0101101

৪৬ - 0101110

৪৭ - 0101111

৪৮ - 0110000

৪৯ - 0110001

৫০ - 0110010

৫১ - 0110011

৫২ - 0110100

৫৩ - 0110101

৫৪ - 0110110

৫৫ - 0110111

৫৬ - 0111000

৫৭ - 0111001

৫৮ - 0111010

৫৯ - 0111011

৬০ - 0111100

৬১ - 0111101

৬২ - 0111110

৬৩ - 0111111

৬৪ - 1000000

৬৫ - 1000001

৬৬ - 1000010

৬৭ - 1000011

৬৮ - 1000100

৬৯ - 1000101

৭০ - 1000110

৭১ - 1000111

৭২ - 1001000

৭৩ - 1001001

৭৪ - 1001010

৭৫ - 1001011

৭৬ - 1001100

৭৭ - 1001101

৭৮ - 1001110

৭৯ - 1001111

৮০ - 1010000

৮১ - 1010001

৮২ - 1010010

৮৩ - 1010011

৮৪ - 1010100

৮৫ - 1010101

৮৬ - 1010110

৮৭ - 1010111

৮৮ - 1011000

৮৯ - 1011001

৯০ - 1011010

৯১ - 1011011

৯২ - 1011100

৯৩ - 1011101

৯৪ - 1011110

৯৫ - 1011111

৯৬ - 1100000

৯৭ - 1100001

৯৮ - 1100010

৯৯ - 1100011

১০০ - 1100100

এখানে প্রতিটি দশমিক সংখ্যার সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা দেখানো হলো। বাইনারি সংখ্যায় শুধুমাত্র ০ এবং ১ এই দুটি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন