বাইনারি হলো একটি সংখ্যা পদ্ধতি যেখানে শুধুমাত্র দুটি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়: ০ (শূন্য) এবং ১ (এক)। এই পদ্ধতিটিকে দ্বি-আঙ্গিক সংখ্যা পদ্ধতি বা ভিত্তি-২ সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি, সেটি হলো দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (base-10), যেখানে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত মোট দশটি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিজিটাল ইলেকট্রনিক যন্ত্র অভ্যন্তরীণভাবে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর কারণ হলো:
- সহজ বাস্তবায়ন: ইলেকট্রনিক সার্কিটে দুটি ভিন্ন অবস্থা (যেমন: ভোল্টেজ 'অন' বা 'অফ', সুইচ 'খোলা' বা 'বন্ধ') খুব সহজে ০ এবং ১ দ্বারা উপস্থাপন করা যায়।
- নির্ভরযোগ্যতা: দুটি অবস্থার মধ্যে পার্থক্য করা সহজ হওয়ায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- লজিক গেট: বুলিয়ান অ্যালজেব্রা এবং লজিক গেট (AND, OR, NOT) বাইনারি সংখ্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
বাইনারি সংখ্যার উদাহরণ:
- (১০)₂ - দশমিক ২ এর বাইনারি রূপ
- (১১১)₂ - দশমিক ৭ এর বাইনারি রূপ
- (১১০১০১)₂ - দশমিক ৫৩ এর বাইনারি রূপ
দশমিক থেকে বাইনারিতে রূপান্তর করার নিয়ম:
কোনো দশমিক সংখ্যাকে বাইনারিতে রূপান্তর করতে হলে, সংখ্যাটিকে ক্রমাগত ২ দিয়ে ভাগ করতে হয় এবং ভাগশেষগুলো বিপরীত ক্রমে লিখে বাইনারি সংখ্যা পাওয়া যায়।
উদাহরণস্বরূপ, দশমিক সংখ্যা ১৩ কে বাইনারিতে রূপান্তর করার পদ্ধতি:
ভাগ প্রক্রিয়া | ভাগফল | ভাগশেষ |
১৩ ÷ ২ | ৬ | ১ |
৬ ÷ ২ | ৩ | ০ |
৩ ÷ ২ | ১ | ১ |
১ ÷ ২ | ০ | ১ |
ভাগশেষগুলোকে নিচ থেকে উপরের দিকে লিখলে পাওয়া যায়: ১১০১। সুতরাং, (১৩)₁₀ = (১১০১)₂।
কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের মৌলিক ধারণা বোঝার জন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বাইনারি সংখ্যাগুলো নিচে দেওয়া হলো:
১ - 0000001
২ - 0000010
৩ - 0000011
৪ - 0000100
৫ - 0000101
৬ - 0000110
৭ - 0000111
৮ - 0001000
৯ - 0001001
১০ - 0001010
১১ - 0001011
১২ - 0001100
১৩ - 0001101
১৪ - 0001110
১৫ - 0001111
১৬ - 0010000
১৭ - 0010001
১৮ - 0010010
১৯ - 0010011
২০ - 0010100
২১ - 0010101
২২ - 0010110
২৩ - 0010111
২৪ - 0011000
২৫ - 0011001
২৬ - 0011010
২৭ - 0011011
২৮ - 0011100
২৯ - 0011101
৩০ - 0011110
৩১ - 0011111
৩২ - 0100000
৩৩ - 0100001
৩৪ - 0100010
৩৫ - 0100011
৩৬ - 0100100
৩৭ - 0100101
৩৮ - 0100110
৩৯ - 0100111
৪০ - 0101000
৪১ - 0101001
৪২ - 0101010
৪৩ - 0101011
৪৪ - 0101100
৪৫ - 0101101
৪৬ - 0101110
৪৭ - 0101111
৪৮ - 0110000
৪৯ - 0110001
৫০ - 0110010
৫১ - 0110011
৫২ - 0110100
৫৩ - 0110101
৫৪ - 0110110
৫৫ - 0110111
৫৬ - 0111000
৫৭ - 0111001
৫৮ - 0111010
৫৯ - 0111011
৬০ - 0111100
৬১ - 0111101
৬২ - 0111110
৬৩ - 0111111
৬৪ - 1000000
৬৫ - 1000001
৬৬ - 1000010
৬৭ - 1000011
৬৮ - 1000100
৬৯ - 1000101
৭০ - 1000110
৭১ - 1000111
৭২ - 1001000
৭৩ - 1001001
৭৪ - 1001010
৭৫ - 1001011
৭৬ - 1001100
৭৭ - 1001101
৭৮ - 1001110
৭৯ - 1001111
৮০ - 1010000
৮১ - 1010001
৮২ - 1010010
৮৩ - 1010011
৮৪ - 1010100
৮৫ - 1010101
৮৬ - 1010110
৮৭ - 1010111
৮৮ - 1011000
৮৯ - 1011001
৯০ - 1011010
৯১ - 1011011
৯২ - 1011100
৯৩ - 1011101
৯৪ - 1011110
৯৫ - 1011111
৯৬ - 1100000
৯৭ - 1100001
৯৮ - 1100010
৯৯ - 1100011
১০০ - 1100100
এখানে প্রতিটি দশমিক সংখ্যার সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা দেখানো হলো। বাইনারি সংখ্যায় শুধুমাত্র ০ এবং ১ এই দুটি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন