ডুরালাক্স (Duralax), যার মূল উপাদান হলো বিসাকোডিল (Bisacodyl), একটি ল্যাক্সেটিভ বা জোলাপ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত মল নরম করে এবং অন্ত্রের মুভমেন্ট বাড়িয়ে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। তবে, ডুরালাক্স বেশি খেলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব বা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডুরালাক্স বেশি খেলে যা হতে পারে:
- তীব্র পেট ব্যথা (Severe Abdominal Cramps): অতিরিক্ত মাত্রায় ডুরালাক্স খেলে তীব্র পেট ব্যথা এবং অস্বস্তি হতে পারে।
- ডায়রিয়া (Diarrhea): এটি একটি খুব সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অতিরিক্ত ডায়রিয়ার কারণে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা (যেমন পটাসিয়াম, সোডিয়াম) দেখা দিতে পারে, যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা এবং স্নায়ুর signaling-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ডিহাইড্রেশন (Dehydration): অতিরিক্ত ডায়রিয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যেতে পারে, যা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মুখ ও ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।
- ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা (Electrolyte Imbalance): বিশেষ করে পটাসিয়ামের অভাব (hypokalemia) হতে পারে। এর ফলে দুর্বলতা, পেশী দুর্বলতা, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং অন্যান্য গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অন্ত্রের উপর নির্ভরশীলতা (Laxative Dependence): দীর্ঘ সময় ধরে বা অতিরিক্ত মাত্রায় ল্যাক্সেটিভ ব্যবহার করলে অন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারাতে পারে এবং মলত্যাগের জন্য ল্যাক্সেটিভের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।
- মলদ্বারের প্রদাহ (Proctitis): সাপোজিটরি (suppository) আকারে ডুরালাক্স ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মলদ্বারে প্রদাহ হতে পারে।
- বমি বমি ভাব এবং বমি (Nausea and Vomiting): কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডোজে বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।
- দুর্বলতা এবং ক্লান্তি (Weakness and Fatigue): ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
করণীয়:
যদি আপনি गलती করে ডুরালাক্সের অতিরিক্ত ডোজ নিয়ে থাকেন, তবে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন বা নিকটস্থ হাসপাতালে যান। তারা আপনার লক্ষণগুলো মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবেন।
সতর্কতা:
- ডুরালাক্স हमेशा ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য ডোজের নির্দেশনা অনুসরণ করা জরুরি।
- দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এর অন্তর্নিহিত কারণ থাকতে পারে।
- শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
নিজের ইচ্ছামতো কোনো ওষুধ, বিশেষ করে ল্যাক্সেটিভের ডোজ বাড়ানো উচিত নয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন