কলা খেলে কি ওজন বাড়ে

 

শরীরে ওজন বৃদ্ধির জন্য সরাসরি কোনো "যাদু" সিরাপ নেই, যা খেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওজন বেড়ে যাবে। ওজন বাড়ার মূল ভিত্তি হলো ক্যালরি গ্রহণ করা এবং ক্যালরি খরচ করার মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করা, যেখানে গৃহীত ক্যালরির পরিমাণ বেশি হয়।

তবে, কিছু সিরাপ বা ঔষধ আছে যা পরোক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে:

১. ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী সিরাপ (Appetite Stimulants):

কিছু সিরাপ আছে যা ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। যারা অপুষ্টিতে ভোগেন, যাদের ক্ষুধা কম লাগে বা যারা অসুস্থতার কারণে পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সিরাপ ব্যবহার করা হতে পারে। ক্ষুধা বাড়লে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ক্যালরি গ্রহণ বৃদ্ধি করে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

* **উদাহরণ:** কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন **সাইপ্রোহেপ্টাডিন (Cyproheptadine)**। এটি মূলত অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত হলেও এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ক্ষুধা বৃদ্ধি করা। এটি প্রায়শই চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুদের বা প্রাপ্তবয়স্কদের ওজন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যাদের ক্ষুধামন্দা রয়েছে।

২. পুষ্টি সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট সিরাপ:

কিছু সিরাপ উচ্চ ক্যালরি এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে, যা বিশেষ করে অপুষ্টিতে ভোগা ব্যক্তি বা যাদের ক্যালরির চাহিদা বেশি, তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে। এগুলো আসলে তরল ক্যালরি সাপ্লিমেন্ট।

* **উদাহরণ:** কিছু মাল্টিভিটামিন বা মিনারেল সাপ্লিমেন্টের সাথে ক্যালরিযুক্ত পুষ্টি মিশ্রিত সিরাপ। এগুলো সরাসরি ওজন বাড়ায় না, বরং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ক্যালরি সরবরাহ করে, যা অপুষ্টি দূর করতে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:

  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন নয়: ওজন বাড়ানোর জন্য কোনো সিরাপ বা ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, এগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে এবং সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী সিরাপগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, যেমন ঘুম ঘুম ভাব, মাথা ঘোরা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার বা অতিরিক্ত ডোজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • কারণ অনুসন্ধান: যদি আপনার ওজন বাড়াতে সমস্যা হয়, তবে এর অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। এটি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেও হতে পারে, যার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন।
  • সুষম খাদ্যাভ্যাস: ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকর উপায় হলো একটি সুষম ও উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। এতে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এর সাথে পর্যাপ্ত ঘুম এবং প্রয়োজনে পেশী তৈরির জন্য শক্তি অনুশীলনও গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণভাবে, সুস্থ মানুষের জন্য ওজন বাড়ানোর জন্য কোনো সিরাপের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। সুষম খাবার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

ওজন বৃদ্ধির জন্য সরাসরি কোনো "যাদু" সিরাপ নেই, যা খেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওজন বেড়ে যাবে। ওজন বাড়ার মূল ভিত্তি হলো ক্যালরি গ্রহণ করা এবং ক্যালরি খরচ করার মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করা, যেখানে গৃহীত ক্যালরির পরিমাণ বেশি হয়।

তবে, কিছু সিরাপ বা ঔষধ আছে যা পরোক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে:

১. ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী সিরাপ (Appetite Stimulants):

কিছু সিরাপ আছে যা ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। যারা অপুষ্টিতে ভোগেন, যাদের ক্ষুধা কম লাগে বা যারা অসুস্থতার কারণে পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সিরাপ ব্যবহার করা হতে পারে। ক্ষুধা বাড়লে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ক্যালরি গ্রহণ বৃদ্ধি করে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

* **উদাহরণ:** কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন **সাইপ্রোহেপ্টাডিন (Cyproheptadine)**। এটি মূলত অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত হলেও এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ক্ষুধা বৃদ্ধি করা। এটি প্রায়শই চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুদের বা প্রাপ্তবয়স্কদের ওজন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যাদের ক্ষুধামন্দা রয়েছে। বাংলাদেশে `Apetiz` (অ্যারিস্টোফার্মা), `Apit` (ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল), `Lysivin` (স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস) ইত্যাদি নামে এই ধরনের সিরাপ পাওয়া যায়, যেখানে Megestrol Acetate নামক উপাদানও ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

২. পুষ্টি সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট সিরাপ:

কিছু সিরাপ উচ্চ ক্যালরি এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে, যা বিশেষ করে অপুষ্টিতে ভোগা ব্যক্তি বা যাদের ক্যালরির চাহিদা বেশি, তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে। এগুলো আসলে তরল ক্যালরি সাপ্লিমেন্ট।

* **উদাহরণ:** কিছু মাল্টিভিটামিন বা মিনারেল সাপ্লিমেন্টের সাথে ক্যালরিযুক্ত পুষ্টি মিশ্রিত সিরাপ। এগুলো সরাসরি ওজন বাড়ায় না, বরং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ক্যালরি সরবরাহ করে, যা অপুষ্টি দূর করতে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। `Venapro` বা `Safa Gold`-এর মতো কিছু পণ্য বাংলাদেশে পাওয়া যায় যা রুচি ও স্বাস্থ্য বাড়ানোর দাবি করে এবং এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান থাকতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:

  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন নয়: ওজন বাড়ানোর জন্য কোনো সিরাপ বা ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, এগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে এবং সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী সিরাপগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, যেমন ঘুম ঘুম ভাব, মাথা ঘোরা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার বা অতিরিক্ত ডোজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। Megestrol Acetate-এর ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও যোনিপথে রক্তপাত, বমি বমি ভাব, শোথ (edema), কম যৌন হরমোন মাত্রা, অস্টিওপরোসিস, কার্ডিওভাসকুলার জটিলতা ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
  • কারণ অনুসন্ধান: যদি আপনার ওজন বাড়াতে সমস্যা হয়, তবে এর অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। এটি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেও হতে পারে, যার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন।
  • সুষম খাদ্যাভ্যাস: ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকর উপায় হলো একটি সুষম ও উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। এতে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এর সাথে পর্যাপ্ত ঘুম এবং প্রয়োজনে পেশী তৈরির জন্য শক্তি অনুশীলনও গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণভাবে, সুস্থ মানুষের জন্য ওজন বাড়ানোর জন্য কোনো সিরাপের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। সুষম খাবার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন