স্বপ্নদোষ কতদিন পর পর হবে, তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এর ফ্রিকোয়েন্সি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:
- বয়স: বয়ঃসন্ধিকালে এবং তরুণ বয়সে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্বপ্নদোষ বেশি হতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ফ্রিকোয়েন্সি সাধারণত কমে আসে।
- যৌন কার্যকলাপ: যারা নিয়মিত হস্তমৈথুন করেন বা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাদের স্বপ্নদোষের প্রবণতা কম থাকতে পারে।
- টেস্টোস্টেরনের মাত্রা: শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকলে স্বপ্নদোষের সম্ভাবনা বাড়ে।
- মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে স্বপ্নদোষের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়তে পারে।
- ঘুমের ধরণ: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমালে স্বপ্নদোষের সম্ভাবনা কিছুটা বাড়তে পারে।
- ব্যক্তিগত অভ্যাস: অতিরিক্ত যৌন চিন্তা বা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বিষয় (যেমন - পর্নোগ্রাফি) দেখলে স্বপ্নদোষের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়তে পারে।
- শারীরিক স্বাস্থ্য: কিছু শারীরিক অসুস্থতা বা ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও স্বপ্নদোষ হতে পারে।
সাধারণভাবে:
- কিশোর এবং তরুণ বয়সে: কারো কারো ক্ষেত্রে সপ্তাহে কয়েকবার পর্যন্ত হতে পারে, আবার কারো কারো মাসে একবার বা তারও কম হতে পারে।
- প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: ফ্রিকোয়েন্সি সাধারণত কমে আসে। কারো মাসে একবার হতে পারে, কারো কয়েক মাসে একবার, আবার কারো একেবারেই হয় না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো রোগ বা অস্বাভাবিকতা নয়।
- এর ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, যতক্ষণ না এটি আপনার দৈনন্দিন জীবন বা মানসিক শান্তির উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
- যদি আপনি ঘন ঘন স্বপ্নদোষ নিয়ে চিন্তিত হন বা এটি আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়, তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
মনে রাখবেন, প্রত্যেকের শরীর আলাদা এবং স্বপ্নদোষের ফ্রিকোয়েন্সিও ভিন্ন হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন