মশা মারার ঔষধের নাম,তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়

 

মশা মারার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ও পদ্ধতি উপলব্ধ রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু দ্রুত কাজ করে, আবার কিছু দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে পারে। নিচে কিছু পরিচিত মশা মারার ঔষধের নাম এবং তাদের ব্যবহারের ধরণ উল্লেখ করা হলো:

স্প্রে (Spray):

  • এরোসল স্প্রে (Aerosol Sprays): এগুলো সাধারণত সিন্থেটিক পাইরিথ্রয়েড (Synthetic Pyrethroids) যেমন পাইরেথ্রিন (Pyrethrin), সাইপারমেথ্রিন (Cypermethrin), ডেল্টামেথ্রিন (Deltamethrin), টেট্রামেথ্রিন (Tetramethrin) ইত্যাদি সক্রিয় উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এরোসল স্প্রে পাওয়া যায়। ব্যবহারের সময় দরজা-জানালা বন্ধ করে স্প্রে করতে হয় এবং কিছুক্ষণ পর ঘর ছেড়ে যেতে হয়।
  • নন-এরোসল স্প্রে (Non-aerosol Sprays): এগুলো স্প্রে বোতলে তরল আকারে থাকে এবং একই ধরনের কীটনাশক উপাদান ব্যবহার করে।

কয়েল (Coil):

  • মশা তাড়ানোর কয়েল বহুল ব্যবহৃত একটি উপায়। এগুলো জ্বালালে ধোঁয়া বের হয় যা মশা তাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মশা কয়েল বাজারে পাওয়া যায়। ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হয় যেন আশেপাশে দাহ্য পদার্থ না থাকে এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে।

লোশন ও ক্রিম (Lotion & Cream):

  • মশা তাড়ানোর লোশন বা ক্রিম ত্বকে লাগালে মশা কামড়ানো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এগুলোতে সাধারণত ডিইইটি (DEET), পাইকারিডিন (Picaridin) বা সিট্রোনেলা অয়েল (Citronella Oil) এর মতো উপাদান থাকে।

বৈদ্যুতিক রিপেলেন্ট (Electric Repellents):

  • লিকুইড ভেপোরাইজার (Liquid Vaporizers): এই যন্ত্রে একটি তরল মশা তাড়ানোর ঔষধের শিশি লাগানো থাকে যা গরম হয়ে ধীরে ধীরে বাতাস মিশে মশা তাড়ায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিকুইড ভেপোরাইজার এবং রিফিল পাওয়া যায়।
  • ম্যাট রিপেলেন্ট (Mat Repellents): এই যন্ত্রে কীটনাশক ভেজানো ছোট ম্যাট ব্যবহার করা হয় যা গরম হয়ে মশা তাড়ায়।

আলো ফাঁদ (Light Traps):

  • বৈদ্যুতিক আলো ফাঁদ (Electric Mosquito Traps): এইগুলোতে অতিবেগুনী আলো (UV light) ব্যবহার করা হয় যা মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করে এবং একটি বৈদ্যুতিক গ্রিডে এসে মারা যায়।

লার্ভিসাইড (Larvicides):

  • এগুলো মশার লার্ভা মারার জন্য ব্যবহার করা হয়। সাধারণত বদ্ধ জলাশয়ে বা যেখানে মশা ডিম পাড়ে সেখানে এগুলো দেওয়া হয়।

কিছু পরিচিত ব্র্যান্ড (ব্র্যান্ডের নাম उपलब्धता এবং অঞ্চলের উপর নির্ভর করে):

  • Good Knight (লিকুইড ভেপোরাইজার, ম্যাট, কয়েল, স্প্রে, লোশন)
  • All Out (লিকুইড ভেপোরাইজার, ম্যাট)
  • Mortein (স্প্রে, কয়েল)
  • Baygon (স্প্রে)
  • Hit (স্প্রে, লিকুইড ভেপোরাইজার)
  • বিভিন্ন লোকাল ব্র্যান্ডের স্প্রে, কয়েল ও লোশনও বাজারে পাওয়া যায়।

ব্যবহারের আগে সতর্কতা:

  • যেকোনো কীটনাশক ব্যবহারের আগে প্যাকেজের নির্দেশনা ও সতর্কতা ভালোভাবে পড়ে নিন।
  • শিশুদের ও পোষা প্রাণীদের নাগালের বাইরে রাখুন।
  • খাবার ও রান্নার জায়গা থেকে দূরে ব্যবহার করুন।
  • স্প্রে করার সময় নিজের মুখ ও চোখ রক্ষা করুন।
  • ব্যবহারের পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
  • কয়েল জ্বালানোর সময় খেয়াল রাখুন যেন আশেপাশে দাহ্য পদার্থ না থাকে এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে।

আপনার প্রয়োজন ও পরিস্থিতির অনুযায়ী সঠিক ঔষধটি বেছে নেওয়ার জন্য স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতা বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিতে পারেন। মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধের জন্য আপনার চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং জমা জল সরিয়ে ফেলাও খুব জরুরি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন