ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায়

 


ধূমপান ছাড়ার পর ফুসফুস ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হতে শুরু করে, তবে পুরোপুরি "ফ্রেশ" হতে কতদিন সময় লাগে তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর, যেমন - আপনি কতদিন ধরে ধূমপান করেছেন, প্রতিদিন কতগুলো সিগারেট খেতেন এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য কেমন।

ধূমপান ছাড়ার পর ফুসফুসের পুনরুদ্ধারের একটি সাধারণ সময়রেখা নিচে দেওয়া হলো:

  • কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ:

    • ৪৮ ঘণ্টা: ফুসফুসে জমে থাকা কার্বন মনোক্সাইড শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে এবং অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ে। স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি উন্নত হতে শুরু করে।
    • কয়েক সপ্তাহ: কাশি এবং শ্বাসকষ্ট কমতে শুরু করে। ফুসফুসের সিলিয়া (ছোট ছোট চুলের মতো অংশ যা ফুসফুস থেকে কফ ও ময়লা বের করতে সাহায্য করে) পুনরায় কাজ করতে শুরু করে।
  • কয়েক মাস:

    • ১-৯ মাস: কাশি এবং সাইনাসের সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে। ফুসফুসের সংক্রমণ (যেমন ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া) হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়। শ্বাস নেওয়া অনেক সহজ মনে হয়।
  • কয়েক বছর:

    • ১ বছর: হৃদরোগের ঝুঁকি ধূমপানকারীর তুলনায় প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।
    • ৫-১০ বছর: ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ধূমপানকারীর তুলনায় প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। মুখ, গলা ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে আসে।
    • ১৫ বছর: হৃদরোগের ঝুঁকি একজন অধূমপায়ীর সমান হয়ে যায়।

তবে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ধূমপানের কারণে ফুসফুসের কিছু ক্ষতি স্থায়ী হতে পারে, বিশেষ করে যদি দীর্ঘ বছর ধরে ধূমপান করা হয়ে থাকে। ফুসফুসের বায়ুথলির (alveoli) ক্ষতি বা এমফিসেমা (emphysema)-এর মতো রোগ পুরোপুরি নিরাময় নাও হতে পারে।

অন্যদিকে, ধূমপান ছাড়ার সাথে সাথেই আপনার শরীর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায়। যত তাড়াতাড়ি ধূমপান ত্যাগ করা যায়, ফুসফুসের ক্ষতির পরিমাণ কমানো এবং পুনরায় সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে।

সুতরাং, যদিও পুরোপুরি "ফ্রেশ" হতে অনেক বছর লাগতে পারে, ধূমপান ছাড়ার কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসের মধ্যেই আপনি শ্বাসকষ্ট কমে যাওয়া এবং কম কাশি অনুভব করতে শুরু করবেন, যা ফুসফুসের উন্নতির লক্ষণ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন