মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণগুলো অনেক সময় ছেলেদের থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত বুকে তীব্র ব্যথা, চাপ বা অস্বস্তি প্রধান লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়, কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো ততটা প্রকট না-ও হতে পারে। ফলে অনেক সময় মেয়েরা হৃদরোগের লক্ষণকে হজমের সমস্যা, ক্লান্তি বা অন্য কোনো সাধারণ শারীরিক সমস্যা ভেবে ভুল করে, যা চিকিৎসা নিতে দেরি করিয়ে দেয়।
মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ
মেয়েদের হার্টের সমস্যার কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
* **বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা:** বুকে চাপ, টান, ভারি ভাব বা জ্বালাপোড়ার মতো অনুভূতি হতে পারে। এই ব্যথা একনাগাড়ে না থেকে থেমে থেমে আসতে পারে।
* **শ্বাসকষ্ট:** কোনো কারণ ছাড়াই শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বিশেষ করে যখন কোনো শারীরিক কাজ করা হয় বা বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও যদি এমনটা হয়।
* **অস্বাভাবিক ক্লান্তি:** হঠাৎ করে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা, যা বিশ্রাম নেওয়ার পরেও দূর হয় না। এটি হার্ট অ্যাটাকের এক সপ্তাহ আগেও দেখা যেতে পারে।
* **অন্যান্য স্থানে ব্যথা:** বুকে ব্যথা ছাড়াও পিঠের উপরের অংশ, ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ বা এক বা উভয় হাতে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
* **বমি বমি ভাব বা বদহজম:** পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব, পেট ফোলা বা বদহজমের মতো লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
* **ঘাম:** কোনো শারীরিক পরিশ্রম না করেই অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, যাকে প্রায়শই ঠান্ডা ঘাম (cold sweat) বলা হয়।
* **মাথা ঘোরা বা হালকা মাথা ব্যথা:** হঠাৎ করে মাথা ঝিম ঝিম করা বা মাথা ঘোরা অনুভব করা।
**মেয়েদের হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি কেন?**
মেয়েদের হৃদরোগের ঝুঁকির কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে:
* **হরমোনের পরিবর্তন:** মেনোপজের পর মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
* **ডায়াবেটিস:** যেসব মেয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কম প্রকাশ পায়। অনেক সময় তাদের নীরব হার্ট অ্যাটাক (silent heart attack) হতে পারে।
* **মানসিক চাপ এবং হতাশা:** অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও হতাশা মেয়েদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* **কিছু স্বাস্থ্যগত অবস্থা:** পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ (PCOD), এন্ডোমেট্রিওসিস এবং গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
এই লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে বা আপনার পরিচিত কারো মধ্যে দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। সময় মতো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু করা গেলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।
পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণগুলো প্রায়শই ভিন্ন হয়। অনেক সময় এই লক্ষণগুলো সাধারণ অসুস্থতা বা ক্লান্তির লক্ষণ ভেবে ভুল করা হয়, যার ফলে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় দেরি হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
### মেয়েদের হার্টের সমস্যার সাধারণ লক্ষণ
পুরুষদের মতো তীব্র বুকে ব্যথার পরিবর্তে, মেয়েদের ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যার কিছু আলাদা উপসর্গ দেখা যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো:
* **বুকে অস্বস্তি বা চাপ:** এটি সাধারণত বুকে চাপ, টান, বা এক ধরনের চাপা অনুভূতির মতো হতে পারে, যা তীব্র ব্যথা না হয়েও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই অস্বস্তি বুকের মাঝখানে বা বাম পাশে অনুভূত হতে পারে।
* **শ্বাসকষ্ট:** কোনো শারীরিক পরিশ্রম না করেও বা হালকা কাজ করার পরেই যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে এটি হার্টের সমস্যার একটি বড় লক্ষণ হতে পারে।
* **অতিরিক্ত ক্লান্তি:** হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করা, যা স্বাভাবিক বিশ্রাম নেওয়ার পরেও দূর হয় না।
* **বমি বমি ভাব, বদহজম বা পেটে ব্যথা:** পেটে অস্বস্তি, বমি ভাব বা বদহজমের সমস্যাকে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মনে করেন। কিন্তু এগুলোও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে যখন এর সাথে অন্য কোনো লক্ষণ যুক্ত থাকে।
* **শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যথা:** ব্যথা শুধু বুকে সীমাবদ্ধ না থেকে ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা কাঁধে ছড়িয়ে যেতে পারে। পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে পিঠ বা চোয়ালের উপরের অংশে ব্যথা বেশি দেখা যায়।
* **হালকা মাথা ঘোরা বা ঘাম হওয়া:** কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করে মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়াও হৃদরোগের একটি সতর্কসংকেত হতে পারে।
এই লক্ষণগুলো যেকোনো বয়সের নারীর মধ্যে দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মেনোপজের পর মেয়েদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই ধরনের লক্ষণ অনুভব করেন, তবে দেরি না করে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন