অ্যাপেন্ডিসাইটিস নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে এবং এর লক্ষণগুলো সাধারণত একই রকম হয়। তবে, মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ অন্যান্য স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যার (যেমন মাসিকের ব্যথা বা ওভারিয়ান সিস্ট) সাথে মিলে যেতে পারে, যা অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয়কে কিছুটা জটিল করে তুলতে পারে।
মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি
সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
* **পেটে ব্যথা:**
* ব্যথা সাধারণত নাভির চারপাশে শুরু হয় এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পেটের নিচের ডান দিকে চলে যায়।
* এই ব্যথা ধীরে ধীরে তীব্র হয় এবং নড়াচড়া, কাশি বা হাঁচি দিলে আরও বেড়ে যায়।
* ব্যথা একটানা হতে পারে, অথবা আসা-যাওয়া করতে পারে।
* **বমি বমি ভাব এবং বমি:** পেটে ব্যথা শুরু হওয়ার পর প্রায়ই বমি বমি ভাব বা বমি হয়।
* **ক্ষুধামন্দা:** খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়।
* **জ্বর:** সাধারণত হালকা জ্বর (১০০-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকতে পারে, যা অবস্থার অবনতির সাথে বাড়তে পারে।
* **কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া:** কিছু মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে।
* **পেটে ফোলাভাব:** পেট ফুলে যেতে পারে।
* **গ্যাস বের করতে সমস্যা:** গ্যাস পাস করতে অসুবিধা হতে পারে।
**মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন:**
* **মাসিকের ব্যথা বা পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (পিআইডি):** অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা মাসিকের ব্যথা বা পিআইডি-এর মতো স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যার সাথে মিলে যেতে পারে। তবে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত মাসিকের ব্যথার চেয়ে বেশি তীব্র এবং নির্দিষ্ট একটি স্থানে (ডান তলপেটে) কেন্দ্রীভূত হয়।
* **গর্ভাবস্থা:** গর্ভাবস্থায় অ্যাপেন্ডিক্সের অবস্থান কিছুটা উপরে সরে যেতে পারে, তাই ব্যথা পেটের উপরের দিকে অনুভূত হতে পারে।
যদি আপনার উপরের লক্ষণগুলো দেখা যায়, বিশেষ করে যদি পেটে ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং ডান তলপেটে স্থায়ী হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অ্যাপেন্ডিসাইটিস একটি জরুরি অবস্থা এবং সময়মতো চিকিৎসা না করালে এটি ফেটে গিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন