মেয়েদের যোনিতে পানি না আসার কারণ


মেয়েদের যোনিতে পানি না আসার কারণ


মেয়েদের যোনিতে পানি না আসার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:

 মেয়েদের যোনিতে পানি না আসার কারণ

### মানসিক চাপ (Stress)


মানসিক চাপ বা অ্যাংজাইটি যোনির তৈলাক্ততা কমিয়ে দিতে পারে। যখন একজন ব্যক্তি অনেক চাপে থাকেন, তখন শরীর থেকে এমন হরমোন নিঃসৃত হয় যা স্বাভাবিক লুব্রিকেশন প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।


### হরমোনের পরিবর্তন


হরমোনের ভারসাম্যহীনতা যোনিতে শুষ্কতার একটি বড় কারণ। গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, বা জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি ব্যবহার করার কারণে হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে। মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায়, যা যোনিতে রক্ত ​​প্রবাহ কমিয়ে দেয় এবং তৈলাক্ততা কমে যায়।


### ওষুধ


কিছু ধরনের ওষুধ যোনিতে শুষ্কতা বাড়াতে পারে। অ্যালার্জির ওষুধ (অ্যান্টিহিস্টামিন), ঠান্ডা লাগার ওষুধ, ডিপ্রেসনের ওষুধ, এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিক যোনিকে শুষ্ক করে তুলতে পারে।


### ডিহাইড্রেশন


শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি না থাকলে ডিহাইড্রেশন হয়। এর কারণে শরীরের অন্যান্য অংশের মতো যোনিও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করা যোনির স্বাভাবিক তৈলাক্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে।


### অপর্যাপ্ত যৌন উদ্দীপনা


যৌন মিলনের আগে যদি যথেষ্ট পরিমাণ ফোরপ্লে বা উদ্দীপনা না থাকে, তাহলে যোনি যথেষ্ট তৈলাক্ত হয় না। যৌন উত্তেজনার সময় যোনিতে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ে, যা পানি আসতে সাহায্য করে।


### যোনির স্বাস্থ্য সমস্যা


কিছু ক্ষেত্রে ইস্ট ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস যোনির পিএইচ (pH) ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এর ফলে জ্বালাপোড়া হতে পারে, যা যোনিকে শুষ্ক করে তোলে।


যদি আপনি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা ভালো। তিনি সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।


---

মেয়েদের যোনিতে পানি না আসা বা যোনির শুষ্কতা (vaginal dryness) একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর কিছু প্রধান কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:


### হরমোনের পরিবর্তন

মহিলাদের শরীরে হরমোন, বিশেষ করে **ইস্ট্রোজেন** হরমোনের মাত্রা কমে গেলে যোনি শুষ্ক হতে পারে। ইস্ট্রোজেন যোনিকে পিচ্ছিল রাখতে এবং এর টিস্যুগুলোকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত নিচের পরিস্থিতিতে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়:


* **মেনোপজ:** এটি যোনি শুষ্কতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। মেনোপজের সময় ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে যোনি শুষ্ক হয়ে যায়।

* **ব্রেস্টফিডিং (স্তন্যপান করানো):** বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়, যা যোনির শুষ্কতার কারণ হতে পারে।

* **মাসিকের সমস্যা:** কিছু ক্ষেত্রে মাসিকের অনিয়ম বা মাসিকের অনুপস্থিতি (Amenorrhea) যোনিকে শুষ্ক করতে পারে।

* **ওভারি অপসারণ:** অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডিম্বাশয় (ovary) অপসারণ করা হলে ইস্ট্রোজেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

* **কিছু ক্যান্সার চিকিৎসা:** কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপির মতো কিছু চিকিৎসা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।


### ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে যোনির শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:


* সর্দি-কাশির ঔষধ (অ্যান্টিহিস্টামিন)

* কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (বিষণ্ণতার ঔষধ)

* কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল


### অন্যান্য কারণ

উপরে উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও আরও কিছু কারণে যোনি শুষ্ক হতে পারে:


* **শারীরিক উত্তেজনা কম থাকা:** যৌন মিলনের সময় যদি যথেষ্ট শারীরিক বা মানসিক উত্তেজনা না থাকে, তাহলে যোনি পিচ্ছিল নাও হতে পারে।

* **যোনির ভেতরে বা বাইরে কোনো জ্বালাপোড়া:** কিছু সাবান, ডিটারজেন্ট, বা পারফিউম যোনির টিস্যুতে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে, যা শুষ্কতার কারণ হয়।

* **ডায়াবেটিস:** অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে, যা যোনির পিচ্ছিল ভাবকে প্রভাবিত করে।

* **মানসিক চাপ ও উদ্বেগ:** মানসিক চাপ শরীরের হরমোন ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে, যা যোনির শুষ্কতার কারণ হয়।

* **ধূমপান:** গবেষণায় দেখা গেছে যে ধূমপান শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।


### সমাধান

যোনি শুষ্কতার সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:


* যৌন মিলনের সময় **লুব্রিকেন্ট** ব্যবহার করতে পারেন।

* যোনির ভেতর বা আশেপাশে কঠোর সাবান, ডিটারজেন্ট, বা পারফিউম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

* যোনি শুষ্কতা যদি খুব বেশি অস্বস্তির কারণ হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার প্রয়োজন হলে **ইস্ট্রোজেন ক্রিম** বা অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারেন।


এই বিষয়ে আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন