জ্যোতির্বিদ্যার জনক কে


জ্যোতির্বিদ্যার জনক কে



জ্যোতির্বিদ্যার জনক হিসেবে নির্দিষ্টভাবে একজন ব্যক্তির নাম বলা কঠিন, কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে, আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক হিসেবে **গ্যালিলিও গ্যালিলি**-কে বিবেচনা করা হয়।

জ্যোতির্বিদ্যার জনক কে


কেন তাঁকে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক বলা হয়?

* **দূরবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহার:** গ্যালিলিও প্রথম উন্নতমানের দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে আকাশ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। এর মাধ্যমে তিনি অনেক নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন যা খালি চোখে দেখা সম্ভব ছিল না।

* **গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার:** তিনি বৃহস্পতির চারটি উপগ্রহ, চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা গর্ত এবং পাহাড়, শুক্র গ্রহের বিভিন্ন দশা, এবং সূর্যের পৃষ্ঠের দাগ আবিষ্কার করেন।

* **কোপারনিকাসের তত্ত্বের সমর্থন:** তিনি প্রমাণ দিয়ে কোপারনিকাসের সৌরকেন্দ্রিক মডেলকে সমর্থন করেন। এই মডেল অনুসারে সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ তাকে কেন্দ্র করে ঘোরে।


এছাড়াও, অনেক ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে আরও কয়েকজন ব্যক্তিত্বকে জ্যোতির্বিদ্যার জনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যেমন:

* **প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যার জনক:** **হিপারকাস**-কে প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যার জনক বলা হয়। তিনি প্রথম নক্ষত্র তালিকা তৈরি করেন এবং বিষুবলম্ব (precession of the equinoxes) আবিষ্কার করেন।

* **ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যার জনক:** **আর্যভট্ট**-কে ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর ঘূর্ণন, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের কারণ, এবং পৃথিবীর পরিধি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেন।


জ্যোতির্বিদ্যার জনক হিসেবে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীকে ধরা হয়। কারণ জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস অনেক পুরোনো এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী এর উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। 


তবে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক হিসেবে সাধারণত **গ্যালিলিও গ্যালিলি**-কে (Galileo Galilei) ধরা হয়। তিনি দূরবীন ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদ্যার পর্যবেক্ষণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো:


* বৃহস্পতি গ্রহের চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার, যা প্রমাণ করে যে সবকিছু পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে না।

* শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের মাধ্যমে শুক্র গ্রহের কলার (phases) পর্যবেক্ষণ, যা কোপারনিকাসের সৌরকেন্দ্রিক মতবাদকে (Heliocentric model) সমর্থন করে।

* শনির বলয় এবং চাঁদের পৃষ্ঠের পর্বতমালা ও গহ্বর পর্যবেক্ষণ।


এছাড়াও, আরও কিছু বিজ্ঞানীকে জ্যোতির্বিদ্যার জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেমন:


* **নিকোলাস কোপারনিকাস** (Nicolaus Copernicus): তিনি সৌরকেন্দ্রিক মডেলের প্রস্তাবক ছিলেন। এই মডেল অনুসারে, সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ ঘোরে।

* **আর্কিমিডিস** (Archimedes): তিনি প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যার একজন অগ্রদূত ছিলেন।

* **আর্যভট্ট** (Aryabhata): প্রাচীন ভারতীয় এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণন, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই এবং সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব প্রদান করেছিলেন।


তবে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে **গ্যালিলিও গ্যালিলি**-কেই সবচেয়ে বেশি এই উপাধি দেওয়া হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন