এআই বা **আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জনক** হিসেবে সাধারণত **অ্যালান টুরিংকে** (Alan Turing) ধরা হয়।
এআই এর জনক কে
তিনি ১৯৫০ সালে "Computing Machinery and Intelligence" নামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি "টুরিং টেস্ট" (Turing Test) নামের একটি পরীক্ষার প্রস্তাব করেন। এই পরীক্ষাটি একটি যন্ত্রের বুদ্ধি বিবেচনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তার এই কাজই পরবর্তীতে এআই গবেষণার মূল ভিত্তি স্থাপন করে।
তবে, আধুনিক এআই এর প্রসারে আরও অনেক বিজ্ঞানী এবং গবেষকের অবদান আছে। এদের মধ্যে **জন ম্যাককার্থি** (John McCarthy)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৫৫ সালে "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এবং ১৯৫৬ সালে ডার্টমাউথ ওয়ার্কশপ (Dartmouth Workshop) আয়োজন করেন, যা এআই-এর একটি নতুন ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করে। একারণে, অনেক সময় তাকেও এআই-এর অন্যতম জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অ্যালান টুরিংকে (Alan Turing) আধুনিক **এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক** বলা হয়। যদিও তিনি "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা" বা "Artificial Intelligence" শব্দটি ব্যবহার করেননি, ১৯৫০ সালে প্রকাশিত তার গবেষণাপত্র "কম্পিউটিং মেশিনারি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স"-এ তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মৌলিক ধারণাগুলো তুলে ধরেন। এই পেপারে তিনি বিখ্যাত টুরিং টেস্টের প্রস্তাব করেন, যা একটি মেশিনের বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে, অনেকেই জন ম্যাকার্থিকে (John McCarthy) "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নামকরণের জন্য এবং এই গবেষণার ক্ষেত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এর জনক হিসেবে বিবেচনা করেন। ১৯৫৬ সালে ডার্টমাউথ ওয়ার্কশপে তিনি প্রথম "Artificial Intelligence" শব্দটি ব্যবহার করেন।
এআই (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হিসেবে সাধারণত **অ্যালান টুরিং (Alan Turing)** এবং **জন ম্যাকার্থি (John McCarthy)**-কে গণ্য করা হয়।
* **অ্যালান টুরিং:** ১৯৫০ সালে তিনি তার বিখ্যাত গবেষণাপত্র "কম্পিউটিং মেশিনারি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স" (Computing Machinery and Intelligence) প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি "টুরিং টেস্ট"-এর ধারণা দেন। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা পরিমাপের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর এই কাজ এআই-এর ভিত্তি স্থাপন করে।
* **জন ম্যাকার্থি:** তিনিই ১৯৫৬ সালে প্রথম "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা" (Artificial Intelligence) শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি এআই গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনও আয়োজন করেন এবং এই ক্ষেত্রটিকে একটি স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই কারণে অনেক সময় তাকে "এআই এর জনক" বলা হয়।
এই দুজন ছাড়াও আরও অনেক বিজ্ঞানী ও গবেষক এআই-এর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে মূল ভিত্তি এবং নামকরণ, এই দুটি বিষয়ের জন্য এই দুজনকে প্রধান জনক হিসেবে ধরা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন