স্ত্রী ধন কাকে বলে

 




স্ত্রী ধন কাকে বলে



**স্ত্রী ধন (Stridhan)** বলতে একজন মহিলার **ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে** বোঝায়, যার উপর তাঁর **পূর্ণ এবং নিরঙ্কুশ অধিকার** থাকে। এটি হিন্দু আইন অনুযায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা।

স্ত্রী ধন কাকে বলে

সহজ কথায়, একজন মহিলা তাঁর জীবনকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে যে সম্পত্তি বা উপহার পান, যার ওপর তাঁর একক মালিকানা থাকে, তাই হলো স্ত্রী ধন।


সাধারণত, স্ত্রী ধনের মধ্যে যা যা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:


* **বিবাহের সময় প্রাপ্ত উপহার:** পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা স্বামীর কাছ থেকে বিবাহের আগে, বিবাহের সময় বা পরে পাওয়া সবরকম উপহার। এর মধ্যে গহনা, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, বা অন্য কোনো সম্পত্তি থাকতে পারে।

* **নিজস্ব উপার্জিত সম্পত্তি:** মহিলা যদি নিজের প্রচেষ্টায় (চাকরি, ব্যবসা বা অন্য কোনো বৈধ উৎস থেকে) কোনো সম্পত্তি অর্জন করেন।

* **উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি:** কিছু ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিও স্ত্রী ধনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

* **দান বা উইল সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি:** অন্য কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে দান বা উইল (Will) মারফত পাওয়া সম্পত্তি।


---


### **গুরুত্বপূর্ণ বিষয়**


* **পূর্ণ অধিকার:** স্ত্রী ধনের ওপর মহিলার **একক এবং পূর্ণ অধিকার** থাকে। তিনি এই সম্পত্তি নিজের ইচ্ছামতো বিক্রি, দান বা অন্যভাবে নিষ্পত্তি করতে পারেন। তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির অন্য কোনো সদস্যের এই সম্পত্তিতে কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

* **স্বামীর দায়বদ্ধতা:** সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, স্বামী বিপদের দিনে স্ত্রীর স্ত্রী ধন ব্যবহার করতে পারলেও, তা তাঁকে অবশ্যই স্ত্রীর কাছে **ফিরিয়ে দেওয়ার নৈতিক দায়বদ্ধতা** রাখেন।

* **যৌথ সম্পত্তি নয়:** স্ত্রী ধনকে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা যায় না।


এই ধারণাটি মূলত মহিলাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সমাজে তাঁদের সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


**স্ত্রী ধন (Stridhan)** বলতে বোঝায় একজন **মহিলার নিজস্ব সম্পত্তি বা সম্পদ**, যার উপর তার **সম্পূর্ণ অধিকার** থাকে।


মূলত **হিন্দু আইন** (Hindu Law) অনুসারে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয় এবং এর অন্তর্ভুক্ত হলো:


* **বিবাহের পূর্বে বা পরে** মহিলা তাঁর **পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন বা অন্য কোনো ব্যক্তি**র কাছ থেকে **উপহার** বা দান হিসেবে যা পান। এর মধ্যে **নগদ টাকা, গয়না, আসবাবপত্র, বা অন্য কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি** থাকতে পারে।

* বিয়ের সময় **অগ্নি সাক্ষী** করে যা দেওয়া হয়।

* স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে পাওয়া উপহার।

* মহিলা যদি **নিজের উপার্জন** বা **স্ব-প্রচেষ্টা**য় কোনো সম্পত্তি অর্জন করেন।

* উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কিছু সম্পত্তি, যেখানে মহিলার পূর্ণ স্বত্ব থাকে।


***


### প্রধান বৈশিষ্ট্য


স্ত্রী ধনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এই সম্পত্তির উপর **মহিলার একচ্ছত্র অধিকার** থাকে। তিনি এই সম্পত্তি **নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার, বিক্রি বা দান** করতে পারেন। এমনকি **বিচ্ছেদের পরেও** এই সম্পত্তিতে তাঁর পূর্ণ অধিকার বজায় থাকে। **স্বামী এই সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না**। তবে, অত্যন্ত **বিপদের সময়** স্বামী এই ধন ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু পরে তার **মূল্য ফিরিয়ে দেওয়ার নৈতিক দায়** স্বামীর থাকে।


মনে রাখবেন, **স্ত্রী ধন** এবং **পণ (Dowry)** এক জিনিস নয়। পণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, কিন্তু স্ত্রী ধন হলো নারীর ব্যক্তিগত অধিকারের ফসল।


**স্ত্রী ধন** বলতে প্রধানত **একজন মহিলার নিজস্ব সম্পত্তিকে** বোঝায়, যার ওপর তাঁর **সম্পূর্ণ ও নিরঙ্কুশ অধিকার** থাকে। এটি প্রধানত **হিন্দু আইন** (Hindu Law)-এর একটি ধারণা।


এই শব্দটি দুটি সংস্কৃত শব্দ থেকে এসেছে— 'স্ত্রী' (নারী) এবং 'ধন' (সম্পত্তি বা সম্পদ)।


সাধারণত যে সমস্ত সম্পদকে স্ত্রী ধন বলা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:


* **বিবাহের আগে, চলাকালীন বা পরে প্রাপ্ত উপহার:**

    * পিতা-মাতা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন বা অন্য কোনো শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে পাওয়া যেকোনো উপহার (যেমন: গয়না, নগদ অর্থ, আসবাবপত্র, বা জমি/সম্পত্তি)।

    * স্বামীর কাছ থেকে বা শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে পাওয়া উপহার।

* **স্ব-উপার্জিত সম্পত্তি:** নারী তাঁর নিজের শ্রম, দক্ষতা বা ব্যবসা থেকে যা উপার্জন করেন।

* **উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি:** নির্দিষ্ট শর্তে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিও স্ত্রী ধনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

* **ভরণ-পোষণ বাবদ প্রাপ্ত সম্পত্তি:** ভরণ-পোষণের পরিবর্তে প্রাপ্ত সম্পত্তি।


**মূল বৈশিষ্ট্য:**


স্ত্রী ধনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এই সম্পত্তির ওপর মহিলার **পূর্ণ স্বত্ব** (Absolute Right) থাকে। তিনি এই সম্পত্তি নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার, বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারেন। তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির অন্য কোনো সদস্যের এই সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করার বা অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করার কোনো অধিকার নেই। এমনকি স্বামী বিপদের সময় এটি ব্যবহার করলেও, স্ত্রীকে তার মূল্য ফিরিয়ে দেওয়ার নৈতিক দায়বদ্ধতা থাকে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন