**স্ত্রী ফুল (Female Flower)** বলতে সেই ফুলকে বোঝানো হয়, যার মধ্যে শুধুমাত্র **স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ** বা **গর্ভকেশর (Pistil/Carpel)** উপস্থিত থাকে, কিন্তু **পুরুষ প্রজনন অঙ্গ** বা **পুংকেশর (Stamen)** থাকে না।
স্ত্রী ফুল কাকে বলে
এই ধরনের ফুলগুলি **একলিঙ্গ ফুল (Unisexual Flower)**-এর অন্তর্গত। স্ত্রী ফুলের গর্ভকেশর-এর মধ্যে থাকে **গর্ভমুণ্ড (Stigma)**, **গর্ভদণ্ড (Style)** এবং **গর্ভাশয় (Ovary)**। গর্ভাশয়ের মধ্যেই ডিম্বাণু তৈরি হয় এবং পরাগায়নের পর এটি ফল ও বীজে রূপান্তরিত হয়।
**সহজ উদাহরণ:** লাউ, কুমড়া, ঝিঙে, পেঁপে ইত্যাদি গাছের স্ত্রী ফুল। এদেরকে অনেক সময় গর্ভকেশরযুক্ত ফুলও বলা হয়।
খুব সহজ করে বললে, **স্ত্রী ফুল** হলো সেই ফুল যার মধ্যে শুধুমাত্র **ফুলের স্ত্রী প্রজনন অংশ** বা **গর্ভকেশর** (Stamen) থাকে।
এই ধরনের ফুলকে **একলিঙ্গ ফুল** (Unisexual flower)-ও বলা হয়, কারণ এদের মধ্যে হয় পুরুষ প্রজনন অঙ্গ (পুংকেশর) থাকে, নয়তো স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ (গর্ভকেশর) থাকে।
যে ফুলের শুধুমাত্র গর্ভকেশর থাকে, সেই ফুলকে **গর্ভকেশরযুক্ত ফুল** বা **মহিলা ফুল** (Pistillate/Female flower) হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, **লাউ, কুমড়া, ঝিঙা**-র মতো কিছু গাছের স্ত্রী ফুল আলাদাভাবে জন্মায়।
**স্ত্রী ফুল (Pistillate Flower)** বলতে সেই **এক-লিঙ্গ ফুলকে** বোঝায় যার মধ্যে শুধুমাত্র **স্ত্রী প্রজনন অংশ (স্ত্রীস্তবক বা গর্ভকেশর)** উপস্থিত থাকে।
এই ফুলে **পুং প্রজনন অংশ (পুংস্তবক বা পুংকেশর)** অনুপস্থিত থাকে।
অন্য কথায়:
* যে ফুলে কেবল **গর্ভকেশর (স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ)** থাকে, তাকে স্ত্রী ফুল বা **গর্ভকেশরযুক্ত ফুল** বলা হয়।
* এই ফুল থেকেই ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়।
**উদাহরণ:** লাউ, কুমড়া, ঝিঙে ইত্যাদি উদ্ভিদের স্ত্রী ফুল দেখা যায়।
---
অন্যদিকে:
* যে ফুলে শুধুমাত্র **পুংকেশর (পুরুষ প্রজনন অঙ্গ)** থাকে, তাকে **পুরুষ ফুল (Staminate Flower)** বলে।
* যে ফুলে **পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবক উভয়ই** উপস্থিত থাকে, তাকে **উভলিঙ্গ ফুল (Bisexual Flower)** বলে। যেমন: জবা, সরিষা, ধুতুরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন