স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে, বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী। মূল বিষয়গুলো হলো:
স্বামী স্ত্রী সহবাসের পর
১. **গোসল করা (ফরজ গোসল):**
* সহবাসের পর দ্রুততম সময়ে **ফরজ গোসল** করে পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক। গোসল না করা পর্যন্ত সালাত (নামাজ), কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা হারাম।
* সালাতের ওয়াক্ত হলে অবশ্যই সময়মতো গোসল করে নিতে হবে।
* ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা অন্য কোনো কাজের আগে গোসল করতে না পারলে, কমপক্ষে ওযু (অজু) করে নেওয়া মুস্তাহাব।
২. **পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:**
* সহবাসের পরে যৌনাঙ্গ এবং শরীরের অন্যান্য অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। এটি স্বাস্থ্য ও পবিত্রতা উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩. **দৈনন্দিন কাজ:**
* ফরজ গোসল না করা পর্যন্ত নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, তাওয়াফ ও মসজিদে অবস্থান করা ছাড়া অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ (যেমন: খাওয়া-দাওয়া, ঘর-সংসারের কাজ) প্রয়োজনে করা যেতে পারে। তবে পবিত্রতা অর্জন করে নেওয়া উত্তম।
৪. **পুনরায় সহবাসের ইচ্ছা থাকলে:**
* কেউ যদি পুনরায় সহবাস করতে চান, তাহলে মাঝখানে ওযু করে নেওয়া ভালো।
৫. **কিছুক্ষণের জন্য শুয়ে থাকা:**
* বীর্যপাত হয়ে গেলে সাথে সাথে স্ত্রীর উপর থেকে নেমে না গিয়ে কিছুক্ষণ তার উপর শুয়ে থাকা সুন্নত, তবে পুরো শরীরের ভর যেন স্ত্রীর উপর না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
এগুলো মূলত ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে, বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী। নিচে প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
১. **ফরজ গোসল (গোসল করা):** সহবাসের কারণে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর গোসল ফরজ হয়। পবিত্রতা অর্জনের জন্য এই গোসল করা আবশ্যক। গোসল না করা পর্যন্ত নামাজ পড়া, কাবা শরীফের তাওয়াফ করা, মসজিদে অবস্থান করা এবং কুরআন স্পর্শ বা তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। তবে দৈনন্দিন অন্যান্য কাজ, যেমন ঘর সংসারের কাজ বা রান্না-বান্না করা বৈধ।
২. **অজু (যদি গোসল বিলম্বিত হয়):** যদি কোনো কারণে গোসল করতে দেরি হয়, তবে খাবার খাওয়া বা ঘুমানোর আগে নামাজের মতো অজু করে নেওয়া ভালো।
৩. **পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:** সহবাসের পরে যৌনাঙ্গ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। এটি স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কুসুম গরম পানি ও মৃদু সাবান ব্যবহার করে বাইরের অংশ আলতোভাবে পরিষ্কার করা যেতে পারেন।
৪. **প্রস্রাব করা:** সহবাসের পর মূত্রনালীর সংক্রমণ এড়াতে প্রস্রাব করে নেওয়া ভালো।
৫. **শিথিল ও শুষ্ক রাখা:** গোপনাঙ্গ ভালোভাবে মুছে শুষ্ক রাখতে হবে এবং ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরতে হবে। ভেজা বা টাইট কাপড় ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
**দ্রষ্টব্য:** ধর্মীয় বিধি-বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত ও সঠিক তথ্যের জন্য অবশ্যই নির্ভরযোগ্য ইসলামী পণ্ডিত বা আলেমদের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো **ফরজ গোসল** (গোসলে জানাবত) করে পবিত্রতা অর্জন করা। ইসলামে এটি একটি অপরিহার্য বিধান।
**সহবাসের পর কিছু করণীয় (ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে):**
১. **গোসল ফরজ হওয়া:** সহবাসের দ্বারা (পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ প্রবেশ করলেই, বীর্যপাত হোক বা না হোক) স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর গোসল ফরজ হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে বীর্যপাত হলেও গোসল ফরজ হয়, এমনকি স্বপ্নদোষ হলেও।
২. **তাড়াতাড়ি গোসল করা উত্তম:** গোসল ফরজ হওয়ার পর দ্রুত গোসল করে পবিত্র হয়ে নেওয়া উত্তম।
৩. **গোসলের আগে করণীয় (ঐচ্ছিক/মুস্তাহাব):**
* গোসলের আগে ওযু (নামাজের জন্য যেভাবে ওযু করা হয়) করে নেওয়া মুস্তাহাব।
* গোসলের আগে প্রস্রাব করে নেওয়া যেতে পারে, যাতে বীর্যের কোনো অংশ ভেতরে আটকে থাকলে বেরিয়ে যায়।
৪. **যে কাজগুলো গোসলের আগে করা হারাম বা নিষিদ্ধ:**
* নামাজ পড়া।
* কুরআন স্পর্শ করা বা তেলাওয়াত করা।
* কাবা ঘরের তাওয়াফ করা।
* মসজিদে প্রবেশ করা বা অবস্থান করা।
৫. **অন্যান্য কাজ:** গোসল না করা পর্যন্ত উপরোক্ত কাজগুলো ব্যতীত অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ, যেমন - রান্না করা, খাওয়া-দাওয়া করা, ঘর-সংসারের কাজ করা ইত্যাদি করা বৈধ। তবে খাওয়া-দাওয়া বা ঘুমানোর আগে ওযু করে নেওয়া মুস্তাহাব।
৬. **ফরজ গোসলের নিয়ম:**
* গোসলের নিয়ত করা।
* প্রথমে হাত ধোয়া।
* শরীরের যে অংশে নাপাকি লেগে আছে, তা ধুয়ে ফেলা।
* এরপর পূর্ণাঙ্গ ওযু করা।
* তারপর শরীরের সমস্ত স্থানে তিনবার করে পানি ঢালা, যাতে শরীরের একটি চুল পরিমাণ অংশও শুকনো না থাকে। মুখ এবং নাকে পানি দেওয়াও (কুলি ও নাকে পানি দেওয়া) ফরজ।
যদি আপনার প্রশ্নটি বিশেষ কোনো প্রেক্ষাপটে হয়ে থাকে, যেমন - গোসল করার নিয়ম, বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট বিষয় জানতে চাওয়া, তাহলে আপনি আরও বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন