স্বামী স্ত্রী সহবাসের পর গোসল না করলে কি হয়

 

স্বামী স্ত্রী সহবাসের পর গোসল না করলে কি হয়




স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের পর গোসল না করলে ধর্মীয় এবং স্বাস্থ্যগত উভয় দিক থেকেই কিছু বিষয় জড়িত।

স্বামী স্ত্রী সহবাসের পর গোসল না করলে কি হয়

**ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে:**


* সহবাসের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ওপর **ফরজ গোসল (জানাবাতের গোসল)** করা আবশ্যক হয়।

* এই ফরজ গোসল না করা পর্যন্ত তারা **নাপাক (অপবিত্র)** থাকেন।

* অপবিত্র অবস্থায় **নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত (স্পর্শ করা ও পড়া), এবং মসজিদে প্রবেশ** করা যায় না।

* বিনা ওজরে গোসল না করে এক ওয়াক্ত নামাজের সময় পার হয়ে গেলে তা **মারাত্মক গুনাহ** হিসেবে বিবেচিত।

* তবে, গোসল ফরজ হওয়ার পরও অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ (যেমন খাওয়া-দাওয়া, ঘর-সংসারের কাজ) প্রয়োজনে করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে, সম্ভব হলে পানাহার বা ঘুমানোর আগে **নামাজের মতো অজু করে নেওয়া** উত্তম।


**স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে:**


* সহবাসের পরে জননাঙ্গসহ শরীর পরিষ্কার করা **সংক্রমণ (ইনফেকশন)** এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, যেমন মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI)।

* বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে, সহবাসের পরে প্রস্রাব করা এবং জননাঙ্গের বাইরের অংশ হালকা গরম জল দিয়ে আলতো করে ধুয়ে নেওয়া ভালো।

* গোসল না করলে শরীরে **ব্যাকটেরিয়া** বা **শরীরের তরল পদার্থ** থেকে যেতে পারে, যা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।


সংক্ষেপে, গোসল ফরজ হলে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করে পবিত্র হওয়া উচিত, বিশেষ করে পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ শুরু হওয়ার আগেই।


ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর **গোসল (ফরজ গোসল বা জানাবাতের গোসল) করা ফরজ** বা বাধ্যতামূলক। গোসল না করলে বেশ কিছু ধর্মীয় বিধি-নিষেধ বা ফলাফল রয়েছে:


১. **নামাজ বাতিল হওয়া:** সহবাসের পর গোসল না করলে ব্যক্তি অপবিত্র (জুনুবি) অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় যেকোনো ফরজ বা নফল নামাজ আদায় করলে তা সহীহ (বৈধ) হবে না। গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে এক ওয়াক্ত নামাজের সময় পেরিয়ে যাওয়াকে ইসলামে মারাত্মক গুনাহ মনে করা হয়।


২. **কুরআন স্পর্শ বা তেলাওয়াত নিষেধ:** গোসল না করে কুরআন শরীফ স্পর্শ করা বা সরাসরি তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ।


৩. **মসজিদে প্রবেশ নিষেধ:** এই অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা বা অবস্থান করা নিষেধ।


৪. **দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রভাব (কম):** গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও দৈনন্দিন কাজ যেমন - খাওয়া-দাওয়া, সংসারের কাজ ইত্যাদি করা ইসলামে একেবারেই নিষিদ্ধ নয়। তবে পবিত্র থাকা বা দ্রুত পবিত্রতা অর্জন করাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এই অবস্থায় খাবার গ্রহণ বা ঘুমানোর আগে হাত-মুখ ধোয়া এবং নামাজের অজুর মতো অজু করে নেওয়া উত্তম।


৫. **রোজা:** রোজা রাখার জন্য সুবহে সাদিকের (ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার) আগে গোসল করে পবিত্র হওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য অবশ্যই সময়মতো গোসল করে নিতে হবে। গোসল না করে রোজা রাখলে রোজা সহীহ হবে, কিন্তু নামাজ কাজা হয়ে গেলে তা মারাত্মক গুনাহ।


সংক্ষেপে, গোসল না করলে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হলো **নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত (যেমন - কুরআন তেলাওয়াত, তাওয়াফ) করতে না পারা**। এই কারণে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করা উচিত।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন