ন্যাপথলিন মশা তাড়ানোর জন্য সরাসরি এবং কার্যকর পদ্ধতি নয়। ন্যাপথলিন সাধারণত পোকা-মাকড়, বিশেষ করে কাপড় ও বইয়ের পোকা তাড়ানোর জন্য এবং তেলাপোকা তাড়ানোর জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়। এর গন্ধ কিছু পোকামাকড়ের জন্য বিরক্তি উৎপাদন করলেও, মশার উপর এর তেমন উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা যায় না।
বরং, ন্যাপথলিন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর দীর্ঘক্ষণ বা উচ্চ মাত্রার সংস্পর্শে এলে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট এবং শিশুদের ক্ষেত্রে আরও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মশা তাড়ানোর জন্য কিছু কার্যকর এবং নিরাপদ উপায় নিচে দেওয়া হলো:
- মশার স্প্রে (Mosquito Repellent Sprays): বাজারে বিভিন্ন ধরনের মশা তাড়ানোর স্প্রে পাওয়া যায় যাতে ডিইইটি (DEET), পাইকারিডিন (Picaridin) বা সিট্রোনেলা অয়েল (Citronella Oil) এর মতো উপাদান থাকে। এগুলো ত্বকে লাগালে মশা কামড়ানো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- মশা কয়েল (Mosquito Coils): এগুলো জ্বালালে ধোঁয়া বের হয় যা মশা তাড়াতে সাহায্য করে। তবে এগুলো বদ্ধ জায়গায় সাবধানে ব্যবহার করা উচিত এবং সরাসরি ধোঁয়া শ্বাসের সাথে নেওয়া উচিত নয়।
- বৈদ্যুতিক মশা তাড়ানোর যন্ত্র (Electric Mosquito Repellents): লিকুইড ভেপোরাইজার বা ম্যাট ব্যবহার করে মশা তাড়ানো যায়।
- মশারী (Mosquito Nets): ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করা মশা থেকে বাঁচার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
- জানালা ও দরজায় মশার জাল (Mosquito Nets on Windows and Doors): ঘরে মশা প্রবেশ বন্ধ করতে জানালা ও দরজায় মশার জাল লাগান।
- পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা: বাড়ির আশেপাশে জল জমতে দেবেন না, কারণ জমা জলেই মশা ডিম পাড়ে। নিয়মিত ফুলের টব, বালতি ও অন্যান্য পাত্রের জল পরিবর্তন করুন।
- মশা তাড়ানোর গাছ: কিছু গাছ যেমন গাঁদা, তুলসী, ল্যাভেন্ডার মশা তাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এগুলো বাড়ির আশেপাশে লাগাতে পারেন।
ন্যাপথলিন ব্যবহার না করার পরামর্শ:
মশা তাড়ানোর জন্য ন্যাপথলিন ব্যবহার করা নিরাপদ নয় এবং এর তেমন কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়নি। তাই মশা তাড়ানোর জন্য উপরে দেওয়া নিরাপদ এবং কার্যকর পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যদি মশার উপদ্রব খুব বেশি হয়, তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বা কীট নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পরামর্শ নিতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন