পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার নিচে উল্লেখ করা হলো:
-
ফল:
- কলা: পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ, যা পেশি শিথিল করতে এবং পেটের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
- আনারস: ব্রোমেলিন নামক এনজাইম ধারণ করে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
- পেঁপে: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং হজমক্ষমতাকে উন্নত করে।
- লেবু ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।
-
সবজি:
- সবুজ পাতাযুক্ত সবজি (যেমন পালং শাক, kale): আয়রন, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ।
- ব্রকলি: ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে।
-
শস্য ও বীজ:
- কুইনোয়া: ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিনের ভালো উৎস।
- বাদাম ও বীজ (যেমন কাঠবাদাম, কুমড়োর বীজ, তিলের বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড): ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
-
প্রোটিন:
- মাছ (যেমন স্যামন, টুনা): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
- ডিম: প্রোটিন এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ।
-
অন্যান্য:
- আদা: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং পেটের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। আদা চা খুবই উপকারী।
- ডার্ক চকোলেট (কমপক্ষে ৭০% কোকো): ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে (তবে পরিমিত পরিমাণে)।
- হলুদ: শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত। হলুদ দুধ বা হলুদ চা পান করা যেতে পারে।
- পর্যাপ্ত পানি: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি।
- হার্বাল চা (যেমন ক্যামোমিল, মেন্থ): পেশি শিথিল করতে এবং আরাম দিতে সাহায্য করে।
এই খাবারগুলো পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে কারণ এগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে অথবা এগুলো শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে, খাদ্যাভ্যাস একটি সামগ্রিক বিষয় এবং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু খাবারের উপর নির্ভর করে তীব্র ব্যথা কমানো নাও যেতে পারে। সুস্থ জীবনযাপন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াও জরুরি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন