পায়ের কুনির পাকা সমস্যা বেশ যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এর সমাধানে কিছু ঘরোয়া উপায় এবং ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে।
প্রাথমিক পরিচর্যা ও ঘরোয়া উপায়:
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা: কুনি আক্রান্ত স্থানটি সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে কয়েকবার পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এটি সংক্রমণ কমাতে এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিবার ভেজানোর পর ভালোভাবে মুছে নিন।
- অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার: কুনি আক্রান্ত স্থানটি ধোওয়ার জন্য হালকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
- গরম সেঁক: দিনে কয়েকবার হালকা গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে কুনির উপর সেঁক দিন। এটি রক্ত চলাচল বাড়াতে এবং পুঁজ বের হতে সাহায্য করবে।
- টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ক্যারিয়ার অয়েলের (যেমন নারকেল তেল বা জলপাই তেল) সাথে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করা উচিত না।
- হলুদ: হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। সামান্য হলুদ বাটা পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে কুনির উপর লাগাতে পারেন।
- অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরার জেল প্রদাহ কমাতে এবং ত্বককে শান্ত করতে সাহায্য করে।
যা করা উচিত না:
- কুনি খোঁটা বা চাপ দেওয়া: কুনির উপর চাপ দেওয়া বা খোটাখুঁটি করলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যেতে পারে এবং ব্যথা বাড়তে পারে।
- টাইট জুতো পরিধান: টাইট জুতো পরলে কুনির উপর চাপ পড়বে এবং সমস্যা আরও বাড়বে। খোলা ও আরামদায়ক জুতো পরিধান করুন।
- নোংরা হাতে স্পর্শ করা: কুনির আক্রান্ত স্থান নোংরা হাতে স্পর্শ করবেন না।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:
- যদি কুনির চারপাশে লালচে ভাব খুব বেশি হয় এবং ব্যথা বাড়তে থাকে।
- যদি পুঁজ বের হতে শুরু করে এবং দুর্গন্ধ হয়।
- যদি জ্বর আসে।
- যদি ঘরোয়া উপায় अपनाने পরও কোনো উন্নতি না হয়।
- যদি আপনার ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।
ডাক্তার সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম বা খাওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী। প্রয়োজনে ছোট সার্জারির মাধ্যমে পুঁজ বের করে দেওয়ার প্রয়োজনও হতে পারে।
পায়ের কুনির পাকা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং সঠিক পরিচর্যা করা জরুরি। দ্রুত এবং সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন