হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি,দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কি

 

হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি


দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (Decimal Number System) হলো একটি স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি যার ভিত্তি হলো ১০। এর মানে হলো এই পদ্ধতিতে সংখ্যা লেখার জন্য মোট দশটি ভিন্ন প্রতীক বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয়: ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯

দৈনন্দিন জীবনে আমরা সাধারণভাবে যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি, সেটিই হলো দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্কের মান তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে। ডান দিক থেকে প্রথম অঙ্কটি এককের স্থান (10⁰), দ্বিতীয় অঙ্কটি দশকের স্থান (10¹), তৃতীয় অঙ্কটি শতকের স্থান (10²), এবং এভাবে বাম দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে ১০ এর ঘাত আকারে স্থানীয় মান বৃদ্ধি পায়।

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য:

  • ভিত্তি (Base): ১০
  • ব্যবহৃত অঙ্ক: ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯
  • স্থানিক মান (Place Value): প্রতিটি অবস্থানের মান ১০ এর ঘাত আকারে বৃদ্ধি পায় (যেমন: ..., 1000, 100, 10, 1, 0.1, 0.01, ...)।
  • দশমিক বিন্দু (Decimal Point): পূর্ণ সংখ্যা এবং ভগ্নাংশ অংশকে আলাদা করার জন্য একটি বিন্দু (.) ব্যবহার করা হয়।

একটি দশমিক সংখ্যার মান নির্ণয়:

একটি দশমিক সংখ্যার মান তার প্রতিটি অঙ্কের স্থানীয় মান এবং অঙ্কের নিজস্ব মানের গুণফলের সমষ্টির মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়।

উদাহরণ:

সংখ্যাটি হলো: ৩২৫.৪৮

এখানে প্রতিটি অঙ্কের স্থানীয় মান নিম্নরূপ:

  • এর স্থানীয় মান: ৩ × ১০০ (10²) = ৩০০
  • এর স্থানীয় মান: ২ × ১০ (10¹) = ২০
  • এর স্থানীয় মান: ৫ × ১ (10⁰) = ৫
  • এর স্থানীয় মান: ৪ × ০.১ (10⁻¹) = ০.৪
  • এর স্থানীয় মান: ৮ × ০.০1 (10⁻²) = ০.০৮

সুতরাং, ৩২৫.৪৮ এর মোট মান = ৩০০ + ২০ + ৫ + ০.৪ + ০.০৮ = ৩২৫.৪৮

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির গুরুত্ব:

  • এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের হিসাব-নিকাশের প্রধান ভিত্তি।
  • গণিত, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতি (যেমন বাইনারি, অক্টাল, হেক্সাডেসিমেল) বোঝার জন্য দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির জ্ঞান অপরিহার্য।

সংক্ষেপে, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি হলো ১০ ভিত্তিক একটি স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি যা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি এবং যা আমাদের সংখ্যা এবং পরিমাণ বুঝতে ও প্রকাশ করতে সাহায্য করে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন