লিও তলস্তয়ের লেখা **'ইলিয়াস'** গল্পে, ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম হলো **শামশেমাগী**।
ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম কি ক্লাস 9
আপনি হয়তো জানতে চাইছেন **ইলিয়াস** গল্পে ইলিয়াসের স্ত্রীর **নাম** অথবা **চরিত্র** কেমন ছিল।
লিও তলস্তয়ের লেখা **'ইলিয়াস'** গল্পে ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম হলো **শামশেমাগী**।
---
## শামশেমাগীর চরিত্র ও ভূমিকা
গল্পে **শামশেমাগী** একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তাঁকে একজন **কর্তব্যপরায়ণ**, **সহিষ্ণু** এবং **অত্যন্ত পরিশ্রমী** নারী হিসেবে দেখানো হয়েছে:
* **পরিশ্রমী ও সহযোগী:** যখন ইলিয়াস ও শামশেমাগী পরিশ্রম করে নিজেদের সম্পদ তৈরি করেন, তখন শামশেমাগী স্বামীকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেন। তাঁর পরিশ্রম ও সহযোগিতা ইলিয়াসের সম্পদ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা নেয়।
* **সহিষ্ণুতা ও মানসিক শক্তি:** জীবনের চরম দুর্দিনেও, যখন তাদের সব সম্পত্তি চলে যায় এবং তারা কপর্দকহীন হয়ে পড়েন, তখন শামশেমাগী কোনো অভিযোগ না করে স্বামীর পাশে থাকেন। তিনি মুহাম্মাদ শার বাড়িতে মজুরের কাজ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।
* **সুখের উপলব্ধি:** গল্পের শেষে দেখা যায়, সহায়-সম্পত্তি হারানোর পরে সাধারণ জীবনযাপন ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই তিনি এবং ইলিয়াস প্রকৃত শান্তি ও সুখ খুঁজে পান। তাঁর উপলব্ধি অত্যন্ত গভীর, যেখানে তিনি বলেন—সম্পত্তি থাকাকালে তাঁদের সুখ ছিল না, কিন্তু এখন যখন তাঁরা মজুর, তখন তাঁরা সুখী।
সব মিলিয়ে, শামশেমাগী ছিলেন ইলিয়াসের সুখে-দুঃখে সর্বদা পাশে থাকা এক **আদর্শ জীবনসঙ্গী**।
লিও তলস্তয়ের **'ইলিয়াস'** গল্পে, ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম হলো **শামশেমাগী**।
গল্পে তাঁর ভূমিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শুধুমাত্র ইলিয়াসের স্ত্রী নন, বরং ইলিয়াসের উত্থান-পতন এবং শেষ জীবনে তাঁর উপলব্ধির ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য সঙ্গী।
---
## শামশেমাগীর ভূমিকা
শামশেমাগীর চরিত্রটি মূলত **ধৈর্য, একনিষ্ঠতা এবং সৎ-শ্রমের** প্রতীক।
১. **সম্পদ অর্জনে সঙ্গী:** পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ইলিয়াস যখন প্রচুর সম্পদ ও প্রাচুর্য অর্জন করছিলেন, শামশেমাগী তখন তাঁর যোগ্য সহযোগী ছিলেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন এবং স্বামীর কাজে পূর্ণ সমর্থন দিতেন।
২. **বিপদে অবিচলতা:** ইলিয়াস যখন তাঁর সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে দরিদ্র হয়ে যান, তখন শামশেমাগী এক মুহূর্তের জন্যও তাঁকে দোষারোপ করেননি বা ছেড়ে যাননি। তিনি ইলিয়াসের পাশে থেকেছেন এবং দু'জনে মিলে প্রতিবেশীর বাড়িতে মজুর-মজুরনির কাজ নিয়েছেন।
৩. **প্রকৃত সুখের উৎস:** গল্পের শেষাংশে, ইলিয়াস যখন উপলব্ধি করেন যে প্রাচুর্যের চেয়ে শান্তিতে থাকাটাই আসল সুখ, তখন শামশেমাগীও ইলিয়াসের সঙ্গে একমত হন। মহম্মদ শার বাড়িতে মজুরি করার সময়েই তাঁরা প্রথমবার কোনো চিন্তা বা উদ্বেগ ছাড়াই **নিষ্কাম আনন্দ** উপভোগ করেন। শামশেমাগীর কথায় এবং হাসিতেই এই গভীর উপলব্ধির প্রকাশ ঘটে।
মোটকথা, শামশেমাগী চরিত্রটি কেবল একজন স্ত্রী নয়, বরং **সহনশীলতা, বিশ্বস্ততা** এবং **প্রকৃত সুখের** ধারণাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। তিনি ইলিয়াসের জীবনের সব পরিস্থিতিতে এক শক্তিশালী স্তম্ভের মতো ছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন