রোজা রেখে স্বামী স্ত্রী সহবাস করা যাবে

 

রোজা রেখে স্বামী স্ত্রী সহবাস করা যাবে



ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, **রোজা রাখা অবস্থায় দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রীর সহবাস (যৌন মিলন) করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (হারাম)**।

রোজা রেখে স্বামী স্ত্রী সহবাস করা যাবে

রোজা শুরু হওয়ার পর (অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়।


কেউ যদি রোজা রাখা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করে, তাহলে তার ওপর নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বর্তায়:


1.  **রোজা ভেঙে যাবে।**

2.  **কাজা করা ওয়াজিব হবে।** (অর্থাৎ পরবর্তীতে সেই দিনের রোজাটি আবার রাখতে হবে।)

3.  **কাফফারা আদায় করতে হবে।** (কাফফারা হলো: একটি গোলাম আজাদ করা, তা সম্ভব না হলে একটানা ষাটটি রোজা রাখা, এবং সেটাও সম্ভব না হলে ষাট জন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো।)

4.  **সেদিনের বাকি অংশ পানাহার ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।**

5.  **কাবীরা গুনাহ হবে, যার জন্য তওবা করা প্রয়োজন।**


তবে, **ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত (অর্থাৎ রাতের বেলায়) স্বামী-স্ত্রীর সহবাস বৈধ ও হালাল।** পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।


মনে রাখবেন, দিনের বেলা সহবাসের আশঙ্কাজনক বা উত্তেজক কাজ (যেমন অতিরিক্ত চুম্বন বা আলিঙ্গন, যদি বীর্যপাতের আশঙ্কা থাকে) থেকেও বিরত থাকা উচিত, যদিও সাধারণ চুম্বন বা আলিঙ্গন শর্ত সাপেক্ষে বৈধ।


ইসলামের বিধান অনুযায়ী, রোজা রেখে দিনের বেলায় (সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করা **সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (হারাম)**।


যদি রোজা রাখা অবস্থায় কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করেন, তবে তার রোজাটি ভেঙে যাবে এবং এর জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আবশ্যক হবে:


১.  **কাজ়া:** সেদিনের রোজাটি পরে অবশ্যই কাজা (পূরণ) করতে হবে।

২.  **কাফফারা:** কাজার সাথে সাথে কাফফারাও আদায় করতে হবে। কাফফারা হলো:

    * একটি দাস মুক্ত করা (বর্তমানে এর বিধান প্রযোজ্য নয়)।

    * তাতে অক্ষম হলে, একটানা (ধারাবাহিক) ষাটটি রোজা রাখা।

    * তাতেও অক্ষম হলে, ষাটজন দরিদ্র মানুষকে দুই বেলা খাবার খাওয়ানো।

৩.  **দিনের বাকি সময় সংযম:** রোজা ভেঙে গেলেও দিনের বাকি অংশ পানাহার ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪.  **গুরুতর গুনাহ:** এটি একটি গুরুতর গুনাহ, তাই এর জন্য আল্লাহর কাছে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি।


তবে, **রমজান মাসের রাতে (ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত)** স্বামী-স্ত্রীর সহবাস হালাল বা বৈধ। এই বিষয়ে পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।


**সারসংক্ষেপ:** রোজা রেখে **দিনের বেলায়** সহবাস করা যাবে না; কিন্তু **রাতে** সহবাস করা বৈধ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন