স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের বিষয়ে রোজার বিধানটি সময় অনুযায়ী ভিন্ন হয়।
স্বামী স্ত্রী সহবাস করলে রোজা হবে কিনা
**দিনের বেলায় (রোজা চলাকালীন সময়):**
* **রোজা ভেঙে যাবে:** রোজা রেখে দিনের বেলায় (ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) ইচ্ছাকৃতভাবে স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়।
* **গুনাহ হবে:** এটি একটি বড় গুনাহ।
* **কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে:** ভেঙে যাওয়া রোজাটির কাজা (অন্য দিন একটি রোজা) আদায় করতে হবে। সেই সাথে কাফফারাও দিতে হবে।
* **কাফফারা হলো:**
১. একজন দাস মুক্ত করা (বর্তমানে এর সুযোগ নেই)।
২. লাগাতার ষাট দিন রোজা রাখা।
৩. এতেও অক্ষম হলে ষাটজন মিসকিনকে খাদ্য দান করা।
* **দিনের বাকি অংশ বিরত থাকা:** রোজা ভেঙে গেলেও দিনের বাকি অংশ পানাহার ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।
* **স্ত্রীর বিধান:** স্ত্রী যদি সন্তুষ্টচিত্তে এই সহবাসে সাড়া দেন, তবে তাঁর উপরও কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে। যদি স্ত্রীকে জোর করা হয়, তবে শুধু স্বামীর উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে, স্ত্রীর উপর নয়; তবে স্ত্রীকে কাজা করতে হবে।
**রাতের বেলায় (ইফতারের পর থেকে ফজর পর্যন্ত):**
* **রোজা হবে:** ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের শুরু) হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করা সম্পূর্ণ **হালাল (বৈধ)**। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
* **অবশ্যই গোসল করতে হবে:** সহবাসের পরে রোজা রাখার জন্য অবশ্যই ফজরের নামাজের আগে গোসল করে পাক-পবিত্র হতে হবে। তবে গোসল না করে সাহরি খাওয়াও জায়েজ আছে, যদি সুবহে সাদিকের আগে সাহরি খাওয়া শেষ হয়।
সংক্ষেপে: **রোজা রেখে দিনের বেলায় সহবাস করা সম্পূর্ণ নিষেধ, এতে রোজা ভেঙে যায় এবং কাজা-কাফফারা ওয়াজিব হয়। কিন্তু রাতের বেলায় (ইফতার থেকে ফজর পর্যন্ত) সহবাস করা বৈধ।**
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, **রোজা রাখা অবস্থায় দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রীর সহবাস (যৌন মিলন) করলে রোজা ভেঙে যায় এবং এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।**
যদি কেউ রোজা রাখা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে দিনের বেলা সহবাস করেন, তাহলে তার উপর নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বর্তাবে:
১. **রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।**
২. তাকে সেই দিনের রোজা **পরে কাজা** করতে হবে।
৩. তাকে **কাফ্ফারা** (প্রায়শ্চিত্ত) আদায় করতে হবে। কাফ্ফারা হলো:
* প্রথমত, একজন ক্রীতদাস মুক্ত করা।
* তাতে সক্ষম না হলে, **টানা ষাট দিন** রোজা রাখা।
* তাতেও সক্ষম না হলে, **ষাট জন দরিদ্রকে** খাদ্য দান করা।
তবে, **ইফতারের পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিকের (ফজরের শুরু) আগ পর্যন্ত** স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করা বৈধ। অর্থাৎ, রাতের বেলা সহবাস করলে রোজা ভাঙবে না। সহবাসের পর গোসল করে পবিত্র হয়ে সাহরি খেয়ে রোজা রাখতে হবে।
ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, **রোজা রাখা অবস্থায় দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রীর সহবাস (যৌন মিলন) করলে রোজা ভেঙে যায়**।
এর ফলে:
১. রোজাটি নষ্ট হয়ে যায়।
২. সহবাসকারী গুনাহগার হন।
৩. দিনের বাকি অংশ পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকতে হয়।
৪. সেই দিনের রোজার **কাযা** (পরে একটি রোজা রাখতে হয়) এবং **কাফফারা** (একটানা ষাটটি রোজা বা ষাটজন মিসকিনকে খাওয়ানো) আদায় করা ওয়াজিব হয়।
তবে, **ইফতারের পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের ওয়াক্ত শুরু) হওয়ার আগ পর্যন্ত** স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করা বৈধ। রোজা শুধুমাত্র দিনের বেলায় (সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) প্রযোজ্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন