ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

 

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদজনক, তা নির্ভর করে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর। সাধারণভাবে, দুটি প্রধান পরিস্থিতি বিপদ ডেকে আনতে পারে:

১. রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হলে (হাইপারগ্লাইসেমিয়া):

  • খালি পেটে: যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ২০০ mg/dL (11.1 mmol/L) বা তার বেশি হয়, তবে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • খাবার গ্রহণের ২ ঘণ্টা পর: যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ৩০০ mg/dL (16.7 mmol/L) বা তার বেশি হয়, তবে এটি বিপজ্জনক এবং দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
  • মারাত্মক পর্যায়: রক্তে শর্করার মাত্রা ৬০০ mg/dL (33.3 mmol/L) বা তার বেশি হলে হাইপারস্মোলার হাইপারগ্লাইসেমিক সিনড্রোম (HHS) নামক একটি জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। এছাড়া, ২৫০ mg/dL (13.9 mmol/L) এর বেশি হলে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস (DKA) হওয়ার ঝুঁকি থাকে, বিশেষ করে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে।

হাইপারগ্লাইসেমিয়ার কিছু লক্ষণ: অত্যধিক তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ঝাপসা দৃষ্টি, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যথা, এবং গুরুতর ক্ষেত্রে চেতনা হারানো।

২. রক্তে শর্করার মাত্রা খুব কম হলে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া):

  • যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ৭০ mg/dL (3.9 mmol/L) এর নিচে নেমে যায়, তবে এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া।
  • যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ৪০ mg/dL (2.2 mmol/L) এর নিচে নেমে যায়, তবে এটি গুরুতর হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং দ্রুত চিকিৎসা না করলে কোমা, খিঁচুনি এবং এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কিছু লক্ষণ: কাঁপুনি, ঘাম, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ক্ষুধা, ঝাপসা দৃষ্টি, বিভ্রান্তি, খিটখিটে মেজাজ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে চেতনা হারানো।

সারসংক্ষেপ:

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং খাদ্য ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা বিপদ এড়াতে সহায়ক। কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন