কাঁঠালের বীজ একটি পুষ্টিকর উপাদান এবং এটি সাধারণত সঠিক পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ায় না, বরং কিছু ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
কাঁঠালের বীজের পুষ্টিগুণ:
- ক্যালরি: প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বীজে প্রায় ৯৮ ক্যালরি শক্তি থাকে। ২৮ গ্রাম বা ১ আউন্স কাঁঠালের বীজে প্রায় ৫৩ ক্যালরি থাকে।
- কার্বোহাইড্রেট: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৩৮.৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে।
- প্রোটিন: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
- ফাইবার: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ১.৫ গ্রাম ফাইবার থাকে।
- চর্বি: প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ০.৪ গ্রাম চর্বি থাকে, যা খুবই কম।
- এছাড়াও এতে ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), বি১২, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকে।
কেন কাঁঠালের বীজ ওজন বাড়ায় না বা কমাতে সাহায্য করে:
- কম চর্বি: কাঁঠালের বীজে চর্বির পরিমাণ অত্যন্ত কম। ওজন বাড়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত ক্যালরি এবং চর্বি গ্রহণ।
- ফাইবার সমৃদ্ধ: এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, যা অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। ফাইবারযুক্ত খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- প্রোটিন: কাঁঠালের বীজে ভালো পরিমাণে প্রোটিন থাকে। প্রোটিন পেশী গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, যা ক্যালরি খরচ করতে সহায়তা করে।
- কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: কাঁঠালের বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলকভাবে কম। এর মানে হলো, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়, যা হঠাৎ ক্ষুধা লাগা বা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
- শক্তি সরবরাহ: এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট এবং বি-ভিটামিন শরীরকে শক্তি যোগায়, যা দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
সতর্কতা:
যেকোনো খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে পারে। কাঁঠালের বীজ স্বাস্থ্যকর হলেও, পরিমিত পরিমাণে সেবন করা উচিত। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের কাঁঠালের বীজ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে।
সংক্ষেপে, কাঁঠালের বীজ তার উচ্চ ফাইবার, প্রোটিন এবং কম চর্বির কারণে ওজন বাড়ার কারণ হয় না। বরং, পরিমিত পরিমাণে এটি আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে তা পুষ্টি যোগাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন