খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন 🌸
সাদা স্রাব (Leucorrhoea / Vaginal discharge) মূলত নারীদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে এর কিছু স্বাভাবিক এবং কিছু অস্বাভাবিক কারণ রয়েছে।
✅ স্বাভাবিক কারণে সাদা স্রাব হয়
-
হরমোন পরিবর্তন – মাসিক চক্র, ডিম্বস্ফোটন (ovulation) বা পিরিয়ডের আগে-পরে হরমোন ওঠানামার কারণে।
-
যোনি পরিষ্কার রাখার প্রক্রিয়া – শরীর স্বাভাবিকভাবে যোনিকে আর্দ্র ও সংক্রমণমুক্ত রাখতে স্রাব তৈরি করে।
-
গর্ভাবস্থা – গর্ভাবস্থার শুরুতে হরমোন বাড়ার কারণে সাদা স্রাব বেড়ে যায়।
-
যৌন উত্তেজনা – যৌন উত্তেজনার সময় যোনি আর্দ্র রাখতে স্রাব নিঃসৃত হয়।
❌ অস্বাভাবিক কারণে সাদা স্রাব হয়
-
সংক্রমণ
-
ফাঙ্গাস (Candida infection)
-
ব্যাকটেরিয়া (Bacterial vaginosis)
-
যৌনবাহিত রোগ (STI যেমন Trichomoniasis ইত্যাদি)
-
-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব
-
নোংরা কাপড়, অপরিষ্কার আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করলে সংক্রমণ হতে পারে।
-
-
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুর্বলতা
-
মানসিক টেনশন, রক্তশূন্যতা ও অপুষ্টি থেকেও স্রাব বেড়ে যায়।
-
-
হরমোনের অসামঞ্জস্য
-
থাইরয়েড সমস্যা, PCOS বা অন্যান্য হরমোনজনিত কারণে।
-
-
জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের রোগ
-
সিস্ট, ফাইব্রয়েড বা অন্যান্য স্ত্রীরোগ থেকেও অস্বাভাবিক স্রাব হতে পারে।
-
⚠️ কখন চিন্তার কারণ
-
স্রাবের রঙ হলুদ, সবুজ, বাদামী বা রক্তমিশ্রিত হলে
-
দুর্গন্ধ থাকলে
-
সাথে চুলকানি, জ্বালা বা ব্যথা হলে
-
স্রাবের কারণে অতিরিক্ত দুর্বল লাগলে
👉 এগুলো হলে অবশ্যই গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আপনি কি চান আমি আপনাকে সাদা স্রাব প্রতিরোধ ও কমানোর জন্য জীবনধারার টিপসও সাজিয়ে দিই?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন